সিলেটে বৃদ্ধাকে যৌন হেনস্তা ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় গ্রেপ্তার ২

Author

জুনাইদ আহমেদ

১৭ সেপ্টেম্বর , ২০২১ ( শুক্রবার ) ০৯:০৬

সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলায় বৃদ্ধাকে যৌন হেনস্তার পর তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশগ্রেপ্তারকৃতরা হলো-কানাইঘাটের আগলাতুক গ্রামের বরকত উল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ (৩৮) ও একই গ্রামের রফিক আহমদের ছেলে সাইদুল্লাহ ওরফে সহিদুল্লাহ (৩৫)। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জৈন্তাপুরের হরিপুল এলাকা থেকে কানাইঘাট থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। 

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. লুৎফুর রহমান জানান, সম্প্রতি ফেসবুকে কানাইঘাটে এক বৃদ্ধাকে হেনস্তার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আমাদের নজরে আসে। এরপর পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে। গত মঙ্গলবার হেনস্তার শিকার ওই নারী কানাইঘাট থানায় এসে চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা করেন। গ্রেপ্তারকৃত দুইজন এজাহারভুক্ত আসামি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া সাড়ে চার মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, চার যুবক ওই বৃদ্ধাকে প্রকাশ্যে টানাহ্যাঁচড়া করছে; তার পরনের শাড়ির আঁচল ধরে টানাটানি করছে। এ সময় নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে কাকুতি-মিনতি করছেন ওই বৃদ্ধা। কানাইঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা অভিযোগ করেন, তার প্রবাসী ছেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য তাকে হেনস্তা করে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

বৃদ্ধার স্বজনেরা জানিয়েছেন, স্বামী মারা যাওয়ায় ও দুই ছেলে দুবাই প্রবাসী হওয়ায় তিনি গ্রামের বাড়িতে একাই বসবাস করেন। গত ২৩ আগস্ট মধ্য রাতে যৌন হেনস্তার পরদিন বাড়িতে তালা দিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী গ্রামে বাবার বাড়ি চলে যান। সেখানে আত্মীয়-স্বজনদের বিষয়টি জানান। অন্যদিকে প্রবাসী ছেলেরা জানান, যৌন হেনস্তার ভিডিও তাদের কাছে পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। অন্যথায় ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর বখাটেরা বৃদ্ধাকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর তা ভাইরাল হয়।সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।

আর্কাইভ