অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, একটি হত্যা মামলায় দুই আসামির জেল আপিল ও প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে তাঁদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে । এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। চুয়াডাঙ্গার এক হত্যা মামলায় মকিম ও ঝড়ু নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাঁদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে বলে গত বুধবার জানান তাঁদের আইনজীবী। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলে আপিল নিষ্পত্তির আগেই ফাঁসি কার্যকর বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, সেই আসামিরা (মকিম ও ঝড়ু) জেলখানা থেকে জেল আপিল করেছিলেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতিসহ তিনজন বিচারপতি শুনানি করে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর রায়ের মাধ্যমে তা (জেল আপিল) খারিজ করে দেন। তিনি আরেকটি আপিল (নিয়মিত) দায়ের করেন, যা বুধবার কার্যতালিকায় ছিল। সংবিধান সংশোধনের ফলে লিভ টু আপিল শুনানি হয় না, সরাসরি আপিল হয়। যে কারণে ওই আপিল কার্যতালিকায় ছিল। তবে তাঁদের (আসামি) আইনজীবীর উচিত ছিল দুটি আপিল একসঙ্গে শুনানি করা বা আদালতের দৃষ্টিতে নিয়ে আসা। যেহেতু তাঁরা দৃষ্টিতে আনেননি, সে কারণে আসামিদের যে জেল আপিল ছিল, তা সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে শুনানি হয়ে ডিসমিসড (খারিজ) হলো। এরপর তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেন, সেটিও ডিসমিসড হলো। তাঁদের করা জেল আপিল ও প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে আসামিদের দণ্ড কার্যকর করা হয়। নিয়মিত আপিলটি আলাদাভাবে করা হয়েছে, যেহেতু এটি একসঙ্গে ট্যাগ করা হয়নি, যে কারণে এটি রয়ে গেছে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।