ইচ্ছে ঘুড়ি
কালেরতরী
১৮ নভেম্বর , ২০২১ ( বৃহস্পতিবার ) ১৩:১৯ইচ্ছে ঘুড়ি
- হোসনেয়ারা
বেগম
ইচ্ছে ঘুড়ি উড়তে চায় আকাশ ছোঁয়ার বাসনায়
আপন-পিয়াসী মন ভাবে না তখন
নাটাই কোথায়,
ভাবনা শুধু উড়ে যাওয়ার দূর সীমানায়
ভাবে না স্বাধীন সে তো নয়
নাটাইয়ের টানে ফিরে যেতে হবে নিশ্চয়।
উড়তে তার ইচ্ছে ভীষণ
অস্তিত্বের বিশ্লেষণে তাই অক্ষুণ্ণ হয় মন,
তখন শুধু ডানা ঝাপটায় গাঙচিল যেমন।
ইচ্ছে ঘুড়ি প্রহর গুনে কি জানি কখন হবে সেই সময়,
অদৃশ্য সুতার টানে ফিরে যেতে হবে গন্তব্যের ঠিকানায়।
মাঝে মধ্যে বিদ্রোহ করে মন
ভাঙতে ইচ্ছে করে শৃঙ্খলের বাঁধন,
ইচ্ছে করে আনন্দ উচ্ছ্বাসে ক্ষণিকের তরে
কেটে যাক জীবনের ভান।
সুরার পাত্র আছড়ে পরুক নর্তকির পায়ে
লু-হাওয়া বয়ে যাক জীবনের দোরগোড়ায়,
দুর্ধর্ষ ক্যানভাস ভরে থাক জীবনের নগ্নতায়
উশৃঙ্খলায় ভেসে যাক মন পাবনের নাও।
ইচ্ছে ঘুড়ি নোঙর ফেলুক নিশ্ছিদ্র রজনীর তরে
সুরার পাত্রে অঞ্জলি দেব লোলুভ তৃষ্ণা ভরে,
বলুক সবাই শূয়রের জাত তাই বলে
লজ্জিত হবো না তাহাদের তরে,
ক্ষণিকের এ জীবন যাব আমি উপভোগ করে
যৌবনের অন্তরাগে দেব আমি সব দ্বার খুলে।
হঠাৎ একদিন কোনো এক গোধূলি লগ্নে
চৈতন্য হলো বিদায়ী সূর্য দেখে,
দিবসের কর্ম শেষে ক্লান্ত দিবাকর বেদনায়
রক্তিম হয়ে আছে অস্তাচলে,
এতো দিন ছিলাম যে ভ্রান্ত ধারণার ভুলে
যৌবনের অন্তরাগে।
হতাশা আজ আমায় বড়ো
বেশি ভোগায়
হায় ইচ্ছে ঘুড়ির নাটাই তো আমার হাতে নয়,
সুতায় পরলে টান যেতে হবে নাই যে উপায়
কি রেখে গেলাম সে বড়ো কথা নয়,
জীবনের এই পরন্ত বেলায়
কি নিয়ে দাড়াবো ঐ মালিকের আশ্রয়।