বিষাদের কালো ছাঁয়া

Author

কালেরতরী

১৪ জানুয়ারী , ২০২২ ( শুক্রবার ) ১৩:৩০

বিষাদের কালো ছাঁয়া 

                                       -হোসনেয়ারা বেগম


সিধুঁরে কিছু মেঘ জমেছে বুঝতে পেরেছিলাম

বাতাসের তোড়ে ভেসে যাবে তা নিশ্চয় 

না হয় কিছু কান্নাই ঝড়াবে অভিমানে

এতোটা গভীর হবে ভাবি নি অভিনয়। 


আশা ছিল তোমার ভুল তুমি পারবে বুঝতে

সেদিন মেঘের কালো ছাঁয়া কেটে যাবে 

তোমার চোখের নোনা অশ্রু  মুছে ফেলবে

স্বিগ্ধ প্রভাতের আলো তোমার মুখে ফুটবে।


ঐ ক্ষণিকের সামান্য একটা ভুল 

গুনে গুনে তাই দিতে হবে এতোটা মাশুল 

জীবনের গল্প পাল্টে যাবে মুহূর্তে 

বেদনা-ক্ষুব্ধ শব্দের তির্যকে। 


জানো বন্ধু,                                                              

আমি কখনো তোমা থেকে চাই নি পালাতে

হারিয়ে ফেলবো তাও ভাবি নি তোমাকে

বুকের পাঁজরে তীব্র শব্দের দীপ জ্বেলে 

তোমায় খুঁজে নিতে চেয়েছি নীলকন্ঠ তুলে। 


তুমি আমায় সেই সুযোগটাও দিলে না

হ্যাঁ স্বীকার করি, তুমি  আমায় দেখেছো

নিষিদ্ধ পল্লির দোড়ে শীর্নকায়া এক 

রমনীর নিবিড় সান্নিধ্যে। 


তোমাকে বলতে পারি নি বিবেচিত সেই লজ্জা

ভাই হয়ে কি করে বলি সেদিনের সেই মজ্জা

সেই রমনী আর কেউ নয়

আমার বড়ো আদরের ছোট বোন মায়া।


সর্বনাশী যৌবনের অন্তরাগে হয়ে ছিলো রণাঙ্গিণী

বুঝে নি  জীবনের নিষাদের কালো ছাঁয়া 

ভালোবাসার মোহমায়া ওকে করেছিল 

অন্ধ আর বিষ্ণুপ্রিয়া।


একদিন এক কালবৈশাখী ঝড়ে ও হারিয়ে যায় 

অনেক খুজেছি কিন্তু না, ও হয়ে গেল যেনো 

চৈত্রের ছিন্ন মেঘ মালা

সেই দিন পথের বাঁকে ওকে দেখতে পাই

ভাগ্যের কী নির্মম খেলা! 


জানো বন্ধু,                                                   

সেদিন থেকে পতিতালয়ে

আমার নিত্য আসা-যাওয়া

ওকে ফিরিয়ে স্বাভাবিক জীবন দেয়া

বলো তোমাকে এ কথা বলি কোন লজ্জায়।


আশারাখি  বিষাদের কলো ছাঁয়া কেটে যাবে

পূর্ণ শশী ধরাতলে হবে বিনিময়ের মাধ্যমা

হে মোর অভিমানী  প্রিয়তমা,

মায়ার জীবনের বিষাদের কালো মেঘ

কাটবে কিনা আমি আজও জানিনা

নাকি অভাগী সারাজীবন ঝড়াবে শুধু কান্না।


আর্কাইভ