রপ্তানিতে চমক টানা দুই মাস
করোনার পর দেশের রপ্তানি খাতে গত ২মাসে টানা চমক সৃষ্টি হয়েছে। গত অক্টোবরে রপ্তানিতে আয় এসেছে প্রায় ৪৭৩ কোটি ডলার, যা একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ আয়। প্রবৃদ্ধি ৬০ শতাংশের বেশি। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরেও ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। ফলে টানা দুই মাস রপ্তানি খাতে চমক দেখানো সাফল্য এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এই চিত্র দেখা যায়। তবে এই সাফল্যে খুব বেশি খুশি নয় পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটির সহসভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের রপ্তানিতে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড সন্দেহ নেই। পোশাকের ওপর ভর করে সার্বিক রপ্তানিতে এই সাফল্য এসেছে।’
ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অক্টোবর মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এই আয় বেশি হয়েছে ৬০.৩৭ শতাংশ। ২০২০ সালের অক্টোবরে পণ্য রপ্তানি থেকে ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার আয় এসেছিল। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরেও একক মাসে রেকর্ড ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ শতাংশ।
করোনার মন্দার পর টানা দুই মাসের এ সাফল্য নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে গত বছর রপ্তানি আয় কিছু কম হয়েছে। সেই তুলনায় বিশ্ববাজার চাঙ্গা হচ্ছে। আমাদের রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। সেই ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক ছাড়াও চামড়া, ওষুধ, হোম টেক্সটাইলসহ অন্য খাতগুলো ভালো করছে। এটা ভালো লক্ষণ। একই সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্যও বাড়ছে।’ এ ছাড়া হোম টেক্সটাইলে আয় হয়েছে ৪১ কোটি ২৭ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৫২ শতাংশ। সিরামিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬.৪২ শতাংশ। আয় হয়েছে এক কোটি ৩৯ লাখ ডলার এবং প্রকৌশল পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪২.৪৯ শতাংশ। আয় হয়েছে ৩৩ কোট ৯৭ লাখ ডলার।