সংসার সীমান্তে । হোসনেয়ারা বেগম
সংসার সীমান্তে
-হোসনেয়ারা বেগম
ছোট্ট একটি
কুঁড়েঘর,এক চিলতে
উঠোন!
সামনে একটু খোলা
বারান্দা অফুরন্ত স্বপ্নে
সাজানো দু'টি মানুষের
বন্ধনের আয়োজন,
যৌবনতৃপ্ত রোদেলা
বেলায়
অনেক স্বপ্ন সাধ
নিয়ে গড়ে ছিলো তারা
এ আপন আলয়।
পরন্ত বিকেল
গড়িয়ে
এই সন্ধ্যার
বর্ণিল আয়োজনে
একজন অনুভব করলো,
কি হবে এই
মায়াজালে জড়িয়ে!
ব্যর্থ এ জগৎ
সংসার
কিছুই তো হলো না
দারাপুত্র পরিবার।
অন্যজন বললো
কোথায় যাবো
এই পরন্তু বেলায়
সব ফেলে
এতোদিনের যাপিত
জীবন থেকে,
শূন্য এ উদ্যানে
ফোটে নাই কোনো ফুল
তাই বলে উদাস মন
মোদের হয়েছে ব্যাকুল।
এ নিয়ে কেটে গেল
আরও একটি বছর
ভাবনার অতলান্তে
হারিয়ে গেলো কদর,
চলে যাবে একজন
বৈরাগী হয়ে
অন্যজন বৈষ্ণবী
হয়ে যাবে যে দিকেমন চায়
যে কোন জীবনের
আঙ্গিনায়।
ভাবনার অতলান্তে
শুরু হলো পথ চলা
নামিলো তারা দুই
বেশে দুই পথে,
কিন্তু এ কি!
মনের মন্দিরে
নিত্য
আসা-যাওয়ার ঘোরে
দেখা হলো ফের
দুজনের একই পথের মোড়ে।
বৈরাগী তাকিয়ে
আছে বৈষ্ণবীর দিকে
অপলক নয়নে
বৈষ্ণবী সহাস্যে বলে,
ওগো বৈরাগী আমরা
হারিয়ে গেছি
সুদীর্ঘ ভালবাসার
বন্ধনে
চল ফিরে যাই সেই
ভালবাসার অরিন্ধনে।
যদিও মোদের
কুঁড়েঘর ছিলো ছোট্ট আয়োজন
তবু্ও জীবন ভালোই
চলছিলো,
একই পথে একই রথে
জীবনের সন্ঞ্জিবনে
হয়ে একই সারথী,
হে জীবন সাথী কেন
ভাবো
দুজনার দুই পথ
হবে ভিন্ন?
দুজনের ভালবাসার
ছিলো কতো জোর
তবু হেলায় ফেলায়
পেরিয়ে এসেছি
জীবনের এতোটা বছর,
পিছন ফিরে আর নাই
বা করি ডর
এই তো পরন্ত বেলা, বাকি নাই বেশি
খেলা।
সংসার বৈরাগী হতে গিয়ে
হলাম না হয়
সংসারী
ছেড়ে যাব দুজনেই
এ মায়াবী জগৎ,
আসিবে যখন সমন বিদায় নেব নির্জনে
ভালোবেসে দু'জনে অতি সংগোপনে।